বঙ্গবিদ্যা উৎসনির্দেশরীতি
বাংলার নিজস্ব উৎসনির্দেশরীতি
বাংলায় গবেষণামূলক লেখালেখির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ উৎসনির্দেশরীতির প্রয়োজন বহুদিন ধরেই অনুভূত হচ্ছিল। সেই প্রয়োজন মেটাতেই কয়েক বছরের ধারাবাহিক বহুমুখী গবেষণা এবং আলোচনার ফসল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবিদ্যা উৎসনির্দেশরীতি। বিভিন্ন ভাষায় এবং বিভিন্ন বিদ্যাশাখায় প্রচলিত উৎসনির্দেশরীতিগুলির তুলনামূলক আলোচনার ভিত্তিতে বাংলার নিজস্ব ভাষিক-সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হয়েছে এই উৎসনির্দেশরীতি। খেয়াল রাখা হয়েছে বঙ্গবিদ্যার প্রতিটি শাখার গবেষকদের নিজস্ব চাহিদার। রীতিটি চূড়ান্ত করার সময় বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের মতামতও নেওয়া হয়েছে। শুধু প্রচলিত মুদ্রিত এবং অমুদ্রিত উৎস-উপাদানগুলিই নয়, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক উপাদানের বিস্তৃত উৎসনির্দেশরীতিও পাওয়া যাবে এতে। শুধু বাংলা উৎসই নয়, পাওয়া যাবে বাংলা গবেষণাকর্মে ব্যবহৃত ইংরেজি এবং অন্য ভাষার উৎসনির্দেশের রীতিও। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষকদের তো বটেই, অন্যান্য বিদ্যাশাখার গবেষকদেরও আর বাংলায় প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে তথ্যসূত্রনির্দেশ, উৎসপঞ্জি, টীকা, উদ্ধৃতি ইত্যাদির রীতি জানার জন্য এখানে-ওখানে খুঁজতে হবে না, জোড়াতালি দিয়ে কাজ চলাতে হবে না। বঙ্গবিদ্যা উৎসনির্দেশরীতিতেই একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো পাওয়া যাবে। বাংলায় গবেষণামূলক লেখার লেখক, সম্পাদক ও প্রকাশকের জন্য অপরিহার্য এই উৎসনির্দেশরীতি।
ব্যবহারকারীদের মতামত এবং বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার ভিত্তিতে উৎসনির্দেশরীতিতে নিয়মিত সংযোজন ও সংশোধন করা হবে। পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশের আগে পর্যন্ত এসব সংযোজন-সংশোধন www.bangabidya.org-তে আন্তর্জাতিক বঙ্গবিদ্যা পরিষৎ-এর সদস্যদের জন্য নির্ধারিত অংশে পাওয়া যাবে।
এছাড়া নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতায় ব্যবহারকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজিত হচ্ছে।
বঙ্গবিদ্যা উৎসনির্দেশরীতি নিয়ে আয়োজিতব্য কর্মশালার তথ্য জানার জন্য, আপনার মতামত জানানোর জন্য, এবং প্রকাশনা-পরবর্তী সংযোজন-সংশোধন সম্পর্কে জানার জন্য নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট www.bangabidya.org দেখুন।
বাংলাদেশে বাংলা একাডেমি এবং ভারতে আন্তর্জাতিক বঙ্গবিদ্যা পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত।